লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি (Lakutia Zamindar Bari) দেখতে যেতে হবে বরিশাল শহর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত লাকুটিয়া গ্রামে।
১৭০০ সালে রুপচন্দ্র রায়ের পুত্র রাজতন্ত্র রায়ের হাত ধরে ইট পাথর আর সূড়কি গাথুনিতে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।
জানা যায়, উনিশ শতকেও জমিদার রাজচন্দ্র রায়ের জমিদার বাড়িটি এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কিন্তু কালের আবর্তে আজ সবই শুধুই স্মৃতি। এই জমিদার পরিবারের সদস্যদের অবদানে বরিশালে নির্মিত হয়েছে রাজচন্দ্র কলেজ ও পুষ্পরানী বিদ্যালয়। বর্তমানে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে আছে। জমিদার বাড়ির প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দ্বিতল প্রাসাধ ছাড়া লাকুটিয়া জমিদার বাড়ির অন্য সব স্থাপনার মধ্যে একাধিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি কিভাবে যাবেন:
বরিশাল শহরের নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে শ্মশান মোড়ে এসে সেখান থেকে লাখুটিয়া বাবুরহাটে যাওয়ার অটোরিক্সা, টেম্পোতে চড়ে লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি যেতে ১৫ টাকা ভাড়া লাগবে।
বরিশাল কিভাবে যাবেন:
বাসে বা সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল –
সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ঢাকার গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে বাস বরিশালের পথে যাত্রা করে। বাসগুলো সাধারণত পাটুরিয়া ঘাট দিয়ে বরিশাল যায়, তবে কিছু বাস মাওয়া ঘাট পাড় হয়ে বরিশালের দিকে যায়। ঢাকা থেকে আসা বাসগুলো বরিশাল শহরের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে থামে।
ঢাকা থেকে বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে হানিফ পরিবহন, ঈগল পরিবহন, শাকুরা পরিবহন অন্যতম। বরিশাল যেতে এসি এবং নন-এসি বাসের ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। এই রুটে বেশ কিছু লোকাল বাস চলাচল করে সময় বাঁচাতে এসব বাস এড়িয়ে চলাই উত্তম। এসব বাসে বরিশাল যেতে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়া লাগে।
নৌপথে বা লঞ্চে ঢাকা থেকে বরিশাল-
ঢাকার সদরঘাট থেকে রাত ৮ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে সুন্দরবন ৭/৮, সুরভী ৮, পারাবত ১১, কীর্তনখোলা ১/২ লঞ্চ গুলো বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর সকালে যেতে চাইলে গ্রিনলাইন লঞ্চে যেতে পারেন। রাতে যাত্রা করা লঞ্চগুলো ভোর ৫ টার দিকে বরিশাল পৌঁছায়। এসব লঞ্চের ডেকের ভাড়া ১৫০ টাকা, ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৬০০ টাকা এবং ভিআইপি কেবিন ভাড়া ৪৫০০ টাকা।
কোথায় থাকবেন:
বরিশালে বেশ কিছু ভালো মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে, যেগুলোতে অনায়াসে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল গ্র্যান্ড প্লাজা, হোটেল প্যারাডাইজ টু ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল এথেনা ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখযোগ্য।
ভ্রমণ গাইড টিম : সব সময় চেষ্টা করছে আপনাদের কাছে যে কোন স্থান সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করতে। যদি কোন তথ্যগত ভুল কিংবা স্থান সম্পর্কে আপনার কোন পরামর্শ থাকে মন্তব্যের ঘরে জানান অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ( ক্লিক করুন )
দৃষ্টি আকর্ষণ : যে কোন পর্যটন স্থান আমাদের সম্পদ, আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।