স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে জনসমক্ষে আসার পর থেকেই বিতর্কে মুখে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। এবার তার নির্দেশেই নিষ্ঠুর ভাবে এক পরিবারকে শেষ করে দিলো দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির রায়াংগ্যাং প্রদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে চীনে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ওই দম্পতি।
চীন হয়ে যে কোনো ভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়েই ছিলো ওই দম্পতির উদ্দেশ্য। গোটা পরিকল্পনায় তাদের সাহায্য করছিল তাদের ভাইয়ের নাবালক ছেলে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম এই সময়।
সূত্রের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানায়, ‘পঞ্চাশোর্ধ্ব স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ১৪ বছরের নাবালক ভাইয়ের ছেলে। ওই নারীর ছোট ভাই আগেই দক্ষিণ কোরিয়ায় পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে একসঙ্গে পালাতে গিয়ে সীমান্তে ধরা পড়ে তিনজনই।’ এরপর তাদের ওপর প্রথমে টানা অত্যাচার চলে বলেও জানায় ওই সংবাদমাধ্যম।
জানা গেছে, কিমের নির্দেশেই দেশবিরোধী কার্যকলাপে দোষীসাব্যস্ত দম্পতিকে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে প্রাণদণ্ড দেয়া হয়। একসঙ্গে ২০ জনের বেশি বন্দুকধারীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান ওই দম্পতি। নাবালককে আপাতত কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন মেনে দক্ষিণ কোরিয়ায় তার পরিবারকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে এমনিই সীমান্তে কড়াকড়ি আগের থেকে বাড়ানো হয়েছে। এমন অবস্থায় পালাতে গিয়েই ধরা পড়ে ওই দম্পতি ও তাদের ভাইয়ের ছেলে। তবে স্থানীয়দের কাছে গ্রেপ্তারির থেকে বেশি আশ্চর্যের এত দ্রুত শাস্তি! যা সচরাচর দেখা যায় না।
পিয়ংইয়ংয়ের নির্দেশে রায়াংগ্যাংয়ের অন্য বাসিন্দাদেরকেও গোটা ঘটনায় সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থা চলাকালীন পালানোর চেষ্টার ফল কি হতে পারে, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে কিমের প্রশাসন।
বাংলা/এনএস