মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার হাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দিন দিন বাড়ছেই। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে পাঁচটি বড় বড় শহরে। পুলিশের গুলিতে নিহত ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির নাম জর্জ ফ্লয়েড।
কৃষ্ণাঙ্গ ওই মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর শেষ মুহুর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপরই সারা দেশে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের মধ্যে এই শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
কৃষ্ণাঙ্গ এ ব্যক্তির মৃত্যুর সাথে জড়িত চার কর্মকর্তাকে মিনিয়াপলিস পুলিশ বিভাগ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ফ্লয়েডের পরিবার বলেছেন, তারা তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ চায়।
এদিকে মিনিয়াপলিসে বিক্ষোভকারীরা একটি পুলিশ ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় মিনেসোটা ন্যাশনাল গার্ডের পাঁচ শতাধিক সেনা মিনিয়াপলিস এবং সেন্ট পল যাচ্ছেন।
মিনিয়াপলিস ফায়ার চিফ জন ফ্রয়েটেল সিএনএনকে ফোনে জানিয়েছেন, ‘মিনিয়াপোলিস কর্তৃপক্ষ এখনো পুলিশ সীমান্তে চলমান অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা কীভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে মূল্যায়ন করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি তারা ভবনের সামনের অংশে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে আমি জানি না যে এটি (আগুন) মূল ভবনে দেয়া হয়েছিল কিনা। তবে আমি জানি, তারা অবশ্যই ভবনটির সামনের দরজার অংশে আগুন দেয়ার চেষ্টা করেছিল।’
তিনি আরো বলেন, দমকল বাহিনীর জন্য এটি একটি ‘চ্যালেঞ্জিং সময়’ এবং বিক্ষোভের সময় তাদপট গত কয়েকদিনে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে তৎপর হতে হয়েছিল। এ ঘটনায় তিনি ভীষণ ‘মর্মাহত’ এবং ‘হতাশ’ বলেও জানান।
বাংলা/এনএস