নরসিংদীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গে মৃত্যু হওয়ায় মরদেহ গ্রহণ করেনি তার স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকেরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে ওই নারীর লাশ দাফন করে পুলিশ। ২৯ মে, শুক্রবার সকালে নরসিংদী পৌর কবরস্থানে পুলিশের সদস্যরা ওই মরদেহ দাফন করেন।
মৃত ওই নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (২৭)। তার এটা ছেলেও আছে। ২৮ মে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফেরদৌসির মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ফেরদৌসি বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খাল্লা গ্রামের মালদ্বীপ প্রবাসী আল আমিনের স্ত্রী। তিনি নরসিংদী পৌরসভার সালিধাতে হাসানের বাড়ীতে ৫ম শ্রেণিতে পড়া ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ জানায়, ফেরদৌসি বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ মাথা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে, এ কথা জেনে স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকরা ফেরদৌসীর মরদেহ বুঝে নিচ্ছিলেন না। বিষয়টি পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নজরে এলে তিনি নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানকে লাশ দাফনের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সমন্বয়ক ও পরিদর্শক রুপণ কুমার সরকার জানান, করোনার কারণে অতি আপনজনও লাশের পাশে আসেনি। কিন্তু পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারের নির্দেশে পুলিশ সদস্যরা কবর খোঁড়া থেকে শুরু করে ওই নারীর মরদেহ দাফন করেন।