প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৩৪টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার নৌ-যোগাযোগ শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল ৩১ মে, রবিবার সকাল থেকে শুরু হবে লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল।
ইতোমধ্যে দেশের প্রধান অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর ঢাকার সদরঘাটে দীর্ঘদিন অলস পড়ে থাকা লঞ্চ ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্টিমারগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকার লালকুঠি থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হবে গ্রীন লাইন ওয়াটার সার্ভিস। এরপর ঢাকা থেকে একে একে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরগামী সকল লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।
এছাড়া বিকাল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে লঞ্চ। আর সন্ধ্যা ৬টায় সরকারি স্টিমার ‘মধুমতি’ বরিশাল, মোড়লগঞ্জ ও খুলনার উদ্দেশে বাদামতলী ঘাট থেকে রওনা হবে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ মালিক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রাণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে লঞ্চ ও স্টিমার চালু করবে।
তিনি আরো জানান, যাত্রী সেবার জন্য ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, মুলাদী, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভাণ্ডারিয়া, খুলনা ও মোড়লগঞ্জসহ ৩৪টি নৌরুটে নিয়মিত নৌযান চলাচল করবে।
এদিকে করোনা মোকাবিলা ও এর বিস্তার রোধে যাত্রীদের দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অর্ধেক যাত্রী বহন করার জন্য লঞ্চের মাস্টার ও স্টাফ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এম ভি পারাবত লঞ্চ কোম্পানির মালিক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি এ-ও জানান, তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে এখনো লঞ্চ মালিক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি।
বাংলা/এসএ/