লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারী চক্রের ‘প্রতিশোধমূলক হামলা’য় নিহত ইউরোপগামী ২৬ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে না। সেখানেই তাদের দাফন করা হচ্ছে বলে গতকাল ৩০ মে, শনিবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম বিষয়ক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মিজদাহ শহরেই মরদেহগুলো দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনাস্থল মিজদার একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে লাশগুলো।
যুদ্ধকবলিত এলাকা এবং জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরের এলাকা হওয়ায় রাজধানী ত্রিপোলির সাথে মিজদাহ শহরের যোগাযোগের ব্যবস্থা বেশ খারাপ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘এমনকি মিজদাহ খুবই ছোট একটি অনুন্নত শহর, সেখানে লাশগুলো সংরক্ষণের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেই। তাই লাশগুলো মিজদায় দাফন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। কাজেই এটা মেনে নিতেই হচ্ছে।’
গত ২৮ মে, বৃহস্পতিবার লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিজদাহে (ত্রিপলি হতে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে) কিছু মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন নিহত। এ ঘটনায় আরো ১২ বাংলাদেশি আহত হয়ে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পরদিন ২৯ মে, শুক্রবার নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৪ জনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জের সুজন ও কামরুল; মাদারীপুরের জাকির হোসেন, সৈয়দুল, জুয়েল ও ফিরোজ, জুয়েল ও মানিক, টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা ও মনির, ইশবপুরের সজীব ও শাহীন, দুধখালীর শামীম; ঢাকার আরফান; টাঙ্গাইলের লাল চান্দ; কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাজন, শাকিল, সাকিব ও সোহাগ, রসুলপুরের আকাশ ও মো. আলী, হোসেনপুরের রহিম, এবং যশোরের রাকিবুল।
আহত অপর ১২ জন হলেন- মাদারীপুর সদরের ফিরোজ ব্যাপারী, রাজৈর উপজেলার মো. আলী ও মো. সম্রাট খালাসি এবং সৈয়দুল ইসলাম; ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার মো. সাজিদ; কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মো. জানু মিয়া ও মো. সজল মিয়া ও মো. সোহাগ আহমেদ; গোপালগঞ্জের ওমর শেখ; টাঙ্গাইলের মহেশপুরের মো. তরিকুল ইসলাম; চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মো. বকুল হোসেন এবং বাপ্পি মিয়া।
বাংলা/এসএ/