এতে বিবাদি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে।
রিট দায়ের করা আইনজীবী পল্লব জানান, দেশের এ পরিস্থিতিতে যেখানে সাধারণ মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ সেখানে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এটা সাধারণ মানুষের ওপর একটি নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্ত ও বৈষম্যমূলক। এ কারণে জনস্বার্থে রিটটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অজুহাতে আন্তজেলা ও লোকাল বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩১ মে, রবিবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লায় চলাচলকারী ঢাকা মহানগর ও পার্শবর্তী এলাকা এবং চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লা রুটে চলাচলের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়কের ২০১৯ সালের ৩ মে যাত্রীপ্রতি নির্ধারিত ভাড়া কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা থেকে ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা ও ৫ টাকা থেকে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এই দুই এলাকায় সর্বোচ্চ ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা ও ১ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করলেও তা কমিয়ে ৬০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।