ক্রিকেটের সাথে ডিউক বলের সম্পর্ক চলছে বহু বছর ধরে। একসময় এই বলটি ক্রিকেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও তা বাজার হারায় কোকাবুরার কাছে। ধীরে ধীরে যেন ক্রিকেট থেকে হারিয়েই যেতে বসেছিলো ডিউক বল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতে ফের আলোচনায় ফিরেছে ডিউক বল।
ইতোমধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রতিরোধে বলে থুতু কিংবা লালার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। সাধারণত পুরনো বলে ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে বোলাররা থুতু বা লালা ব্যবহার করে বল থেকে বাড়তি সুইং আদায় করে নিতেন। এখন তাদের সেই চর্চায় খেদ পড়েছে। যার করণে লালা বা থুতু ব্যবহারের বিকল্প খুঁজছে বল তৈরিকারী কোম্পানিগুলো।
সেই প্রতিযোগিতায়ই যেন এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ডিউক। থুতু বা লালা ছাড়াই তাদের তৈরি নতুন বল সুইং করবে বলে দাবি করেছে- সংবাদে এমনই জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
যদিও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান কোকাবুরা কিছুদিন আগে দাবি করেছিলো, তাদের তৈরি মোম দিযে ঘষে চকচকে করা যাবে এমন একটি বল বাজারে আনতে যাচ্ছে তারা।
তবে তা ছাপিয়ে গেছে ডিউকের সাম্প্রতিক ঘোষণা। এরই মধ্যে হাতে সেলাই করা একটি উচ্চমানের বল তৈরির দাবি করেছে কোম্পানিটি। তারা জানিয়েছে, নতুন এই বলে কিছু দিয়ে না ঘষলেও তা এমনিতেই সুইং করবে। বলের সুইং থুতু কিংবা লালার ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে না বলে দাবি করেছে ডিউক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিলীপ জাজোদিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, ‘আমরা উন্নতমানের একটি বল তৈরি করছি। এর আকৃতি অসাধারণ। এতে রয়েছে শক্তিশালী সিম।’
হাতের সেলাই করা এই বলের সিম বাতাসে ঘূর্ণির কাজ করবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘বলটি বেশ শক্তপোক্ত। ফলে দীর্ঘদিন এতে খেলা যাবে।’
পেসাররা খুব সহজেই এ বলে মসৃণতা ফিরে পাবেন উল্লেখ করে দিলীপ দাবি করেন, এর ফলে নিয়মিত সুইং করবে বলটি।
বাড়তি সুইং আদায়ে বলে ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেনি আইসিসি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘ডিউকের নতুন বলের গুণ হচ্ছে, শরীর বা কপালের ঘাম দিয়ে হালকা ঘষেই উজ্জ্বল করা যাবে।’
অধিকন্তু এমনিতেই এটি চকচকে থাকার কারণে এ বলে সুইংয়ের হার বেশি হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলা/এসএ/