সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েদডের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলতে থাকা আন্দোলন সম্পর্কে আশাবাদী মন্তব্য করেন তিনি। এমন খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
এর আগে ১লা জুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চলাচলের জন্য রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের বল প্রয়োগ করে সরিয়ে দেয় মার্কিন পুলিশ। এরপর গত মঙ্গলবার এই বিষয়ে মন্তব্য করেন বুশ। তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে সরাসরি মন্তব্য না করে বলেন, ‘ এর থেকে ভালো আরো পথ রয়েছে- সহমর্মিতার পথ, প্রতিশ্রুতির পথ, জোরাল পদক্ষেপ এবং শান্তিপূর্ণ বিচার ব্যাবস্থা।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, একসাথে আমরা আমেরিকানরা একটি ভালো পথ বেছে নেব।’
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে নিজেকে ‘বেদনার্ত’ বলে তিনি সাদা আমেরিকানদের বর্ণবাদের শিকার কালো আমেরিকানদের সহায়তা এবং তাদের অবস্থা বোঝার জন্য আহ্বান জানান। দেশটির ৪৩ তম প্রেসিডেন্ট তার বিবৃতি ট্রাম্পের কথা উল্লেখ না করলেও তার সহানুভুতিপূর্ণ কথায় এটি স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট সহানুভূতিশীল নন।
বুশ আরো বলেন, ‘সত্যিকারের আলোতে নিজেকে দেখার একমাত্র উপায় হলো, এত লোক যারা আহত ও শোক পালন করছে তাদের কণ্ঠস্বর শোনা এবং যারা এই কণ্ঠগুলোকে থামানোর চেষ্টা করেছিল তারা আমেরিকারকে বুঝতে পারে না বা কীভাবে এই দেশকে আরো ভাল স্থান হয়ে ওঠে তা বুঝতে পারে না।’
পুলিশ কর্তৃক বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমনাত্মক অবস্থানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন তখনই শক্তিশালী ও শান্তিপূর্ণ হয় যখন, দায়িত্বশীল আইন প্রয়োগকারী কর্তৃক সুরক্ষিত বিক্ষোভকারীরা উন্নত ভবিষ্যতের জন্য পদযাত্রা করেন।’
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি হিসাবে বুশ প্রথমে ইরাকের সাথে যুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এবং পরে আফ্রিকান আমেরিকান সম্প্রদায়কে বিধ্বস্তকারী হারিকেন ক্যাটরিনা পরবর্তি ব্যবস্থার জন্য তার বিরুদ্ধে প্রথম দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এদিকে, বুশ তার বক্তব্য প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই তার সাবেক চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ, মাইক মুলেন, যিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সামান্য সমালোচনা করে লিখেছেন, তিনি ‘পীড়িত’ কারণ ট্রাম্পের জন্য একটি ফটো অপ’এ যাবার জন্য পথ পরিষ্কার করতে সুরক্ষা বাহিনী হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে।
মুলেনও বুশের মতো জোর দিয়ে বলেন, ‘মানুষকে বুঝতে হবে যে এই প্রতিবাদের মূল কারণ হল আফ্রিকান আমেরিকানদের প্রতি অবিরাম বর্ণবাদ।’
বাংলা/এসজে