বলিউডে জোর জল্পনা, সোনুকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি। পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে যে ভাবে কাজ করেছেন সোনু, প্রচারের আলো এখন তাঁর দিকে। কর্নাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশের ঘরছাড়া শ্রমিকদের জন্য কাজ করছে সোনুর টিম। কোচিতে আটক ১১৭ জন তরুণীকে উড়ানে ওডিশা ফেরানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। করোনার কালবেলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লাগাতার যুদ্ধই রাজনীতির কারবারিদের চুম্বকের মতো টেনে এনেছে এই অভিনেতার পাশে।
অবশ্য ‘যুদ্ধ’ কথাটা এক অর্থে বাড়াবাড়ি নয়। ৪৬ বছরের সোনুর জন্ম পাঞ্জাবের মোগায়, জাতিতে ক্ষত্রিয়। করোনা-কালে তিনি যেমন লড়ছেন আর্তের জন্য, তেমনই দীর্ঘ লড়াই করেছেন কেরিয়ারে পায়ের নিচে মাটি শক্ত করতে। শুধু বলিউড নয়, তেলুগু-তামিল-কন্নড়, একাধিক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সোনুর অবাধ বিচরণ। ২০১৬ সালে তৈরি করেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘শক্তি সাগর প্রোডাকশন’। শক্তি সাগর সুদ তাঁর বাবা। মা সরোজ সুদ। ১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন সোনু। স্ত্রী সোনালি, দুই পুত্র ইশান্ত আর আয়ানকে নিয়ে তিনি পরিযায়ীদের পাশে।
দুটো তামিল ছবি দিয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন সোনু। ১৯৯৯ সালে। তার পরের বছরও দুটি ছবিই তেলুগু। হিন্দিতে ব্রেক পান ২০০১ সালে, ‘শহিদ-এ-আজম’ ছবিতে ভগৎ সিংয়ের চরিত্রে। ২০০৪ সালে মণি রত্নমের ‘যুবা’তে দেখা যায় সোনুকে। বলিউডে এরপর নিয়মিত মুখ সোনু। ‘দাবাং’-এ সলমন কিংবা ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এ শাহরুখ— সুপারস্টারদের সঙ্গে নিয়মিত স্ক্রিন শেয়ার করেন সোনু। এখন তিনিই সুপারস্টার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সোনুকে নিয়ে এখন হাজার হাজার পোস্ট। অনুরাগী বাড়ছে লাফিয়ে-লাফিয়ে। এ সবে কোনও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই সোনুর। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই মুহূর্তে যাঁরা ঘরছাড়া, তাঁরাই আমাদের ঘরদোর তৈরি করে দিয়েছেন। বিপদে তাঁদের পাশে যদি না দাঁড়াতে পারি, নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দেব কী ভাবে?’
কথাটা ঠিকই বলেছেন সোনু। ‘সুপারহিরো’ হওয়ার আগে মানুষ হওয়া দরকার। সেটাই একবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।