প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুদানের প্রাপ্য টাকা চাওয়ার কারণে চাকুরি হারালেন এক মসজিদের ইমাম। ভুক্তভোগী ওই ইমামের নাম আবু সাঈদ। তিনি মাগুরার সদর উপজেলার শত্রুজিতপুর ইউনিয়নের সিংহডাঙ্গা উত্তরপাড়া মসজিদে ইমামতি করতেন।
জানা গেছে, সদর উপজেলার সিংহডাঙ্গা উত্তরপাড়া মসজিদের সভাপতি মীর খোরশেদ আলম। এছাড়াও তিনি শত্রুজিতপুর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মসজিদ সভাপতির নির্দেশে ইমাম-মুয়াজ্জিনের অনুদান মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক একরাম হোসেন গ্রহন করেন। তিনি টাকা তুলে আবার ওই সভাপতি কাছেই জমা দেন। এদিকে নিজের টাকা নেয়ার জন্য ইমাম আবু সাইদ ৩১ মে সকালে সভাপতি খোরশেদ আলমের কাছে যান। এ সময় খোরশেদ তাকে টাকা না দিয়ে নানা অজুহাত দেখান। এ নিয়ে কথা তাদের মধ্যে কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিকালে ইমাম আবু সাইদকে চাকুরিচ্যুত করেন তিনি। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অনুদানের ৩ হাজার টাকা ওই ইমামকে দিয়ে দেন তিনি।
এ বিষয়ে ইমাম আবু সাইদ জানান, ২০১৯ সালের ১ মার্চ তিনি ওই মসজিদে চাকুরি পান। সেই থেকে তিনি মসজিদে ইমামতি করে আসছিলেন। অনুদানের টাকা চাওয়ার কারণে তাকে চাকরি থেকে বাদ দেয়া হবে, এমনটি ভাবতে পারেননি তিনি।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মীর খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমাদের মসজিদের অবস্থা ভাল না হওয়ায় ওই টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করতে চেয়েছিলাম। তবে ইমাম টাকা চাওয়ায় তাকে ও মুয়াজ্জিনকে তাদের প্রাপ্য টাকা দিয়ে দিয়েছি।’
ইমামের চাকরিতে বাদ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ইমামকে ঈদের আগেই বাদ দিতে চেয়েছিলাম। বিভিন্ন কারণে দেয়া হয়নি। এখন তাকে বাদ দিয়ে আমরা নতুন ইমাম নিয়েছি।’
এ বিষয়ে মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সিংহডাঙ্গা মসজিদের সভাপতির প্রতিনিধির হাতে আমরা টাকা তুলে দিয়েছি। এটি বিতরণ নিয়ে কোন জটিলতা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ইমাম সাহেবের চাকুরি থেকে বাদ দেয়ার বিষয়টি মসজিদ কমিটির এখতিয়ারভুক্ত। আমাদের কিছু করার নেই’।
বাংলা/এনএস