বাংলাদেশের আটটি বিভাগের একটি। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অবস্থিত। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন খুলনা বিভাগের ছয় জেলা নিয়ে এই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ধনধান্যে পরিপূর্ণ এ বিভাগকে ‘বাংলার ভেনিস’ বলা হয়।
নদ-নদী
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জালের ন্যায় নদী ছড়িয়ে আছে; বরিশাল বিভাগেও তেমনই নদ-নদীর সংখ্যা প্রচুর। এই বিভাগের উল্লেখযোগ্য নদ-নদীসমূহ হচ্ছে কীর্তনখোলা, মেঘনা, আড়িয়াল খা ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ব্রজমোহন কলেজ বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি ১৮৮৯ সালে অশ্বিনীকুমার দত্ত প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষার জন্য বরিশাল বিভাগে
⇒দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় – বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় , দুইটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় – গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সিটি অফ গ্লোবাল ভিলেজ, দুটি সরকারি মেডিকেল কলেজ- শের-এ-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ, একটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ – শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে এছাড়াও প্রতি জেলায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বরিশাল বোর্ডে ২০টি সরকারি কলেজ সহ মোট কলেজের সংখ্যা ৩০৯টি।
ধর্ম
বরিশাল বিভাগে মুসলিম ও হিন্দুসহ কিছু সংখ্যক খ্রিষ্টান,বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মের লোকজন একত্রে বসবাস করে।
জনসংখ্যা ও আয়তন
৮৩,২৫,৬৬৬ (২০১১ আদমশুমারি) ও ১৩২২৫.২০ কিমি (৫১০৬.২৮ বর্গমাইল)