দুই মাস পর ফের চীনা রাজধানী বেইজিংয়ে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে আবারো লকডাউনের ফেরে পড়তে যাচ্ছেন লাখো মানুষ। ইতোমধ্যে নগরীর ২৭টি মহল্লার মানুষের বাইরে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
জানা যায়, টানা ৫৭ দিন বেইজিংয়ে কারো শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। এরপর গত সপ্তাহেই ফের দেশটির প্রধান এই শহরে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। গতকাল ১৭ জুন, বুধবার একদিনেই ৩১ জনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। এ নিয়ে এক সপ্তাহে আক্রান্ত বেড়ে ১৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজধানীর ২৭টি মহল্লার মানুষকে বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেইজিং থেকে ১২শ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে ৯ জুলাই পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হয়েছে ট্রেন সার্ভিসও। ইতোমধ্যে রাজধানীর প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুইমিং পুল, জিমের মতো জনসমাগমের জায়গাগুলো।
যে ২৭টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে ২৬টি এলাকা মাঝারি মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাকি এলাকাটি উঁচু মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ। এ ২৭টি এলাকার বাসিন্দাদের বেইজিংয়ের বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনও নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেলেই রাজধানীর বাইরে যেতে পারবেন।
এদিকে দুই কোটির বেশি জনঅধ্যুষিত বেইজিংয়ে এখন করোনার পরীক্ষা করা ভয়াবহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বরাতে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, তাদের কাছে এত মানুষ আসছে যে জুলাইয়ের আগ পর্যন্ত তারা নতুন কারো কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে না। অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনেও নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন।
বেইজিংয়ে দ্বিতীয়বারের করোনাভাইরাসের এই সংক্রমণটি নগরটির খাদ্যের প্রধান পাইকারি বাজার শিনফানদি থেকে ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বাজার গোটা নগরের ৮০ শতাংশ মাংস ও সবজির যোগান দেয়।
বাংলা/এসএ/