ভারতে মাতাল বর ও তার বন্ধুদের হাতে খুন হলেন কনের নয় বছরের ভাই। মিষ্টি খাওয়া নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত। দেশটির উত্তরপ্রদেশের ফারুক্কাবাদ জেলার শামসাবাদে এই ঘটনা ঘটেছে। লকডাউনের মাঝেই বসেছিল বিয়ের আসর। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। বিয়ের পর্ব শেষে বন্ধুদের নিয়ে পুরোদমে মদ পান করেন বর।
পরে রাতে খাওয়োর সময়েই বাধে এই গন্ডগোল। ওই বরের নাম মনোজ কুমার। ১৮ জুন, বৃহস্পতিবার এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নৈশভোজে বন্ধুদের নিয়ে খেতে বসেন বর মনোজ কুমার। প্রথম থেকেই খাবারের আয়োজন নিয়ে শোরগোল শুরু করেন তারা। এ সময় খাবার, পানির গ্লাস সব উল্টে ফেলে দেন মনোজ ও তার বন্ধুরা। তারা মাতাল হওয়ায় কারো কথাই তারা কানে তোলেননি। এক পর্যায়ে মনোজ তার পকেট থেকে দেশি পিস্তল বের করে গুলি ছোঁড়ে মধ্যস্থতা করতে আসা ব্যক্তিকে। এরপর কনের ছোট ভাই, যে পানি পরিবেশন করছিলেন তাকে জোর করে এসইউভি গাড়িতে তুলে পালিয়ে যায় বর ও তার বন্ধুরা।
এমনকি যাওয়ার সময় তাদের গাড়ি তিনজনকে ধাক্কা দেয়। এতে দুই মহিলাসহ এক কিশোরী গুরুতর আহত হয়। তারা প্রত্যেকেই এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
কনের এক ভাই পুনিত জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বরযাত্রী আসার পরই তাদের নাস্তা হিসেবে যথাসাধ্য পানি-মিষ্টি দেয়া হয়। তারপরও নৈশভোজে তাদের চাহিদা মেটেনি। বরকে অনেকবার ফোন করা সত্ত্বেও তিনি ফিরে আসা তো দূরের কথা, এমনকী ফোনের উত্তর দেননি। এরপর রাত তিনটে নাগাদ গ্রামের শেষ প্রান্তে তার ভাইকে খুন করে ফেলে পালিয়ে যায়। ৯ বছরের ছেলেটির গলায় গভীর ক্ষত ছিলো। এছাড়াও মুখেও ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কনের বাবা রামপাল যাদব। তিনি জানান, ওই তিন নারীর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, মনোজের গাড়ির খোঁজ চলছে। তার বাড়ির কিছু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখন পর্যন্ত মনোজ ও তার বন্ধুদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয় পুলিশ।
বাংলা/এনএস