প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে বিশ্ব যেন এক মৃত্যুপুরী। আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার থেকেও ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র গবেষণামূলক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
মহামারীকালে সব কারণ থেকে মৃত্যুর ঘটনা বিশ্লেষণ করা। এছাড়াও আগের বছরের একই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে একটি চিত্র পাওয়া যেতে পারে। এ জন্য ২৭টি দেশের মৃত্যুর সংখ্যা পর্যালোচনা করে বিবিসি।
এতে দেখা গেছে, অনেক জায়গায় ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা হিসাব রাখা সত্ত্বেও মহামারীজনিত সামগ্রিক মৃত্যুর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিলো। এই অতিরিক্ত মৃত্যু, গড়ের চেয়ে বেশি মৃত্যুর সংখ্যা ধারণা দেয়। যা দেশেগুলোর সরকার কর্তৃক প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। এর মধ্যে করোনায় কিছু মৃত্যু হবে রেকর্ডহীন। আবার কিছু ঘটনায় স্বাস্থ্যসেবা সিস্টেমে চাপ এবং নানা কারণের ফলাফল হতে পারে।
দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ৪৩ শতাংশ, অস্ট্রিয়াতে ১১ শতাংশ, বেলজিয়ামে ৩৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ছয় শহরে ৩৮ শতাংশ, চিলিতে ১৬ শতাংশ, ডেনমার্কে ৪ শতাংশ, ইকুয়েডরে ১০৮ শতাংশ, ফ্রান্সে ২৫ শতাংশ, জার্মানিতে ৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৫৫ শতাংশ, ইরানে ৬ শতাংশ, ইতালিতে ৪০ শতাংশ, জাপানে দশমিক ৩ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৩০ শতাংশ, নরওয়ে ১ শতাংশ, পেরোয় ৮৭ শতাংশ, পর্তুগালে ১৫ শতাংশ, রাশিয়ার মস্কোয় ৩০ শতাংশ, সার্বিয়ায় ৫ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৯ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫, স্পেনে ৫০ শতাংশ, সুইডেনে ২৪ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ১০ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ২ শতাংশ, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ৩২ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে।
বিভিন্ন দেশের মধ্যে সরাসরি মৃত্যুর সংখ্যা তুলনা করা কঠিন। কত লোকের করোনা পরীক্ষা করা হলো এবং সরকার তাদের গণনায় হাসপাতালের বাইরে মৃত্যুর অন্তর্ভুক্ত করে কি না, এর ওপর করোনায় মৃত্যুর তথ্যের নির্ভুলতা নির্ভর করে।
বাংলা/এনএস