প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর প্রকোপ কমতে শুরু করেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এই পরিস্থিতি ফুটবলাররা নেমে পড়েছেন মাঠে। স্প্যানিশ লীগ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই ক্রিকেট খেলাকেও মাঠে নামানোর জন্য চিন্তা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আইপিএল শুরু করতে চায় বিসিসিআই। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। আইপিএল ভারতে না করা গেলে শ্রীলঙ্কা বা আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ১৯ জুন, শুক্রবার রাত পর্যন্ত এর কোনো সম্ভাবনা নেই।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বিসিসিআই’র প্রেসিডেন্টকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠমহল জানায়, আইপিএল হলে ভারতেই হবে, অন্য কোথাও নয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসএল শুরু হবে ২১ নভেম্বর। এর ব্রডকাস্টিং স্বত্বও স্টার স্পোর্টসের হাতে। আইপিএলও দেখাবে তারা। ইন্টারন্যাশনাল টিভি প্রোডাকশনের ক্ষেত্রে ব্যাক টু ব্যাক টুর্নামেন্ট হলে মাঝখানে অন্তত সাত দিনের গ্যাপ রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে আইপিএল শেষ করতে হবে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে। মানে, ৩০ সেপ্টেম্বর বা ১ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে খেলা শেষ করতে হবে।
বিসিসিআই’র ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এক, ১০ জুলাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরাসরি ভাবে বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তারা সরকারিভাবে এগোতে পারছেন না। দুই, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে? খেলোয়াড়রা কীভাবে সেটাকে নেবে? কোনো কিছু বোঝা যাচ্ছে না। সেপ্টেম্বরের শুরুতে এশিয়া কাপ হওয়ার কথা শ্রীলঙ্কায়। কিন্তু তারা শুনছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অনেকে শ্রীলঙ্কা যেতে রাজি হচ্ছেন না। এশিয়া কাপ ওই সময় না করা গেলে তখন ক্রীড়াসূচি কি দাঁড়ায় সেটাও দেখার বিষয়। তৃতীয়ত, মুম্বাই আর চেন্নাইতে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় কিনা। আর পনেরো দিন কেন এক মাস বাদেও আইপিএল শুরু করা হলে মুম্বাই আর চেন্নাই অবধারিতভাবে কোনো ম্যাচ পেত না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- সেই সময় এই শহর দুটোর পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়- বোর্ড কর্তাদের অবস্থা এমনই।
তবে এটুকু বোঝা যাচ্ছে বিশ্বব্যাপী সংগঠকদের দেখে বিসিসিআই নিজেদের মনোবল অনেক বাড়িয়ে নিয়েছেন। ধরে নেয়া যায়, করোনা নতুন করে মারাত্মক আঘাত না হানলে এবারের আইপিএল হচ্ছে। আর আইপিএল হলে পুরোটাই হবে। বিশ্বের সমস্ত টুর্নামেন্টের মতোই আইপিএলও হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। খেলোয়াড়রা যাতে কোনোভাবেই সংক্রমিত না হয়, সে জন্য তাদের এক শহর থেকে আরেক শহরে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন