দেশের নিম্ন আদালতের বিচারকসহ ১০৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০ জন বিচারক, ৫৯ কর্মী এবং সুপ্রিম কোর্টের ২৪ কর্মকর্তা রয়েছেন। ২০ জুন, শনিবার পর্যন্ত ভার্চুয়াল আদালতে কাজ করতে গিয়ে তারা করোনায় আক্রান্ত হন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে সাইফুর রহমান জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন আরো ৬ জন বিচারক। বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধস্তন আদালতের ১৫ বিচারক বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, জানান, নওগাঁ জেলা জজ আদালতের অফিস সহকারী মহিউদ্দিন মোহন ও মাদারীপুর জজ আদালতের জারিকারক মো. কাউসার যথাক্রমে শুক্র ও বৃহস্পতিবার করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে, লালমনিরহাটের মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) বেগম শামীম আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও জয়পুরহাটের মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের এই মুখপাত্র আরো জানান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক ও অন্যান্য আদালতের কর্মকর্তাদের চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা জজদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের করোনা সংক্রান্তে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি দায়িত্ব পালন করছে।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৭ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ১৪২৫ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২৪০ জন। এপর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৮ হাজার ৭৭৫ জন। আজ সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন।
২০ জুন, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন