প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী মোকাবেলা করায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশীদ। ২৩ জুন, মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি করেন।
এ সময় দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘সরকারের লোকজন, বিএমএ বলছে, করোনায় মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি কোনো কোভিড হাসপাতাল ভিজিট করেছেন? ১০ দিন ধরে ফোন করে ও বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। কমিটমেন্ট আছে, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন।’
তিনি আরো বলেন, সমাজে ঘুণ ধরে গেছে। চাঁদাবাজি, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ খারাপ ব্যক্তিরা দেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। এই সংসদে এমন ব্যক্তি এসেছেন, যিনি মাদক পাচারের শীর্ষে। তিনি কীভাবে সংসদে এলেন? তার স্ত্রী কীভাবে সংসদে এলেন? সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয় না থাকলে সংসদে আসতে পারতেন না।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ নসিহত দিচ্ছেন। সৎ হতে হবে। ১০ বছর ধরে শীর্ষ পদে আছেন তিনি। গত নির্বাচনে যাঁরা মানুষের আমানত নষ্ট করেছেন, এর জবাবদিহি করতে হবে না? এই পুলিশ দিয়ে সৎ প্রশাসন গড়ে তোলা সম্ভব নয়। পুলিশ আওয়ামী লীগের গোলাম ও দাস বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
এদিকে অধিবেশনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন সংসদ সদস্য হারুন-অর-রশীদ। তার নির্ধারিত সময়ে কথা বলতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন তিনি।
এ বিষয়ে হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘সংসদ নেতার (প্রধানমন্ত্রী) কথায় আপনি আমাকে সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমার কথার মধ্যে স্পিকার হয়ে বাধা দিয়েছেন। এটা দুঃখজনক। এ জন্য আমি ওয়াকআউট করছি।’
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন