লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নেপালে ১১টি স্থানে জমি দখল করেছে চীন। নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়ছে। জমি দখলের খবর সামনে আসার পরে ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের ওপর কি চাপ তৈরি করার জন্যই এমনটা করছে চীন?
নেপালের কৃষি মন্তণালয়ের তালিকা দেখা গেছে, চীন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি নিজের দখলে নিয়েছে। এরপর সেখানে আউট পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আর স্বাভাবিক সীমানা হিসাবে বয়ে চলা নদীর গতিপথও সেই কারণে বদলে দিয়েছে চীন। এমন খবর প্রকাশ করেছে নিউজ এইট্টিন।
ওই তালিকা মতে, দেশটির হুমলা জেলায় ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়। সেখানে চীনের স্থাপনা নির্মাণের ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গিয়েছে। এছাড়া রাসুয়া জেলায় একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে চীন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে। সিন্ধুপালচক জেলার খারানে খোলা ও ভোতেকোশি নদীর ১১ হেক্টর জমি দখল করা হয়। এই জায়গাগুলো স্বাভাবিক সীমানা মেনে তিব্বতের মধ্যে পড়ছে দাবি করেছে চীন।
নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয় সরকারের সতর্ক করে দিয়ে বলে, চীনের আগ্রাসনের ফলে নেপালের আরো জমি চীনের মধ্যে চলে যেতে পারে। যদি নেপাল সরকারের মনোভাব ঠিক কী তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি নেপালের সরকারের পক্ষ থেকে চীন সরকারে নেতৃত্বে একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। ওই ওয়ার্কশপের মূল বিষয়ই ছিলো, কীভাবে প্রশাসন আরো সুশৃঙ্খল ভাবে চালানো যায়।
এতে করে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এর মাধ্যমেই নেপালের প্রশাসনের সরাসরি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নাক গলানো শুরু হয়ে গেল।
বাংলা/এনএস