মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম পাপুলকে ২১ দিনের জন্য আটকাদেশ দিয়েছেন সে দেশের আদালত। অর্থ ও মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পাপুলকে গতকাল ২৪ জুন, বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদে জানিয়েছে আরব টাইমস।
সংবাদে জানা যায়য়, পাবলিক প্রসিকিউটর বাকি আসামিদেরও কারাদণ্ড অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পাপুলের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনে জড়িত কুয়েতি একটি সংস্থার মালিককে দুই হাজার দিনার অর্থ দণ্ডে জামিনে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতোমধ্যে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারসহ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) পাপুলের পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই টাকা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখার অনুরোধ করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর। যাতে পাপুল বা তার নমিনি যাদে ওই টাকা তুলতে না পারেন কিংবা অন্য কোথাও পাচার করতে না পারেন। এ ছাড়া সরকারের কৌঁসুলিরা মনে করছেন, পরবর্তী সময় এটি মামলার প্রমাণ হিসেবে তাদের জন্য জরুরি।
এদিকে পাপুলের মামলায় কুয়েত সরকারের তিন কর্মকর্তা সরকারি কৌঁসুলির কাছে বক্তব্য দিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ম্যানপাওয়ার কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা এবং একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
এখন পর্যন্ত তদন্তে পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লাভ করতেন বলে জানা গেছে।
গত ৬ জুন কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে দেশটির পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এমপি পাপুল। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, ভিসা বাণিজ্য ও অর্থপাচার সংক্রান্ত অপরাধের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এদিকে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর আরো অনুসন্ধানের স্বার্থে সংসদ সদস্য ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক শহিদুল ইসলাম পাপুলকে সপরিবারে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাংলা/এসএ/