প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর জোর সক্রিয়তার বদলে নিরুত্তাপ সময় পার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অনিয়মিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, একান্ত সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ অনেকে করোনা আক্রান্ত। এতে করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে আছে।
২৫ জুন, বৃহস্পতিবার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে নড়েচড়ে বসে মন্ত্রীসহ পুরো মন্ত্রণালয়। শুরু হয় ফাইল চালাচালি, কার্যালয়ে আসেন মন্ত্রীও। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেন, ঘরে বসেই দাপ্তরিক সব কাজ সারছেন তিনি। আটকে নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিস্ক্রিয় থাকার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা আছি, তাদেরকে সুস্থ থেকেই কাজ করতে হবে। যারা অসুস্থ তারা তো এক মাস আসতে পারে না। কাজ কিন্তু থেকে নেই, কাজ চলছে। একটা ফাইলও আটকে নেই, সব ফাইল আপডেটেড। এখন অফিস সব জায়গায়, এই এক জায়গায় তো অফিস না। যেখানে বসবো আমি, সেখানেই অফিস। আমাদের তো কিছু করার নেই। কারণ সবাই আক্রান্ত হয়ে গেছে। তাই ভুল প্রচারটা ঠিক নয়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব করোনার কারণে আইসোলেশানে রয়েছেন। আক্রান্ত বহু কর্মকর্তা। তাদের তালিকায় আছেন মন্ত্রীর একান্ত সচিব, জনসংযোগ কর্মকর্তাসহ অনেকে। তবে সচিবালয়ের বাইরে হঠাৎ হঠাৎ নানা কর্মসূচিতে যোগ দিলেও গত বেশ কিছুদিন ধরেই মন্ত্রণালয়ে অনিয়মিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৯ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ১৬২১ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৯৪৬ জন। এপর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন। আজ সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৮১৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন।
২৫ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন