আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ‘শহীদ’ বলে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২৫ জুন, বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে পাকিস্তানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ইমরান খানের এমন দাবি ঘিরে এখন গোটা বিশ্বে আলোচনা চলছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এবং ভারতের জিনিউজ।
পার্লামেন্টে ইমরান বলেন, আমেরিকানরা অ্যাবোটাবাদে এসে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে, তাকে শহীদ করেছিল। এরপর কী ঘটলো? পুরো বিশ্ব আমাদের অভিশাপ দিলো এবং পাকিস্তানকে নিয়ে খারাপ কথা বলা শুরু করলো।
ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ সম্বোধন করে পাকিস্তানের বিরোধী রাজনীতিকদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন ইমরান খান। তবে তার রাজনৈতিক যোগাযোগের বিশেষ সহকারী ড. শাহবাজ গিল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন দেশে ও বিদেশে এই ভাষণ নিয়ে অযথাই বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, যেভাবে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে তাতে অনেক জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে তিনি শহীদ হয়ে উঠেছেন। ইমরান আরও বলেন, ওয়াশিংটনের উচিত ছিল বন্দি করা এবং বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে পুরো বিষয়টিকে স্পষ্ট করা।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২ মে অ্যাবোটাবাদের গ্যারিসন শহরে লাদেনকে নিকেশ করেছিল মার্কিন নৌসেনার সিল বাহিনী। দুটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে করে এসে ২৩ জন মার্কিন সেনার একটি দল লাদেনকে হত্যা করে। সেই দলে ছিল। এছাড়া ‘কায়রো’ নামের একটি বেলজিয়ান মেলিনয় প্রজাতির কুকুরও ছিল সেই দলে। ওই কুকুর লাদেনকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছিল। যদিও আজ পর্যন্ত লাদেনের মৃতদেহ কেউ দেখেনি। লাদেনের মৃতদেহ কফিনে ভরে সমুদ্রের নিচে ফেলা হয়েছে বলে জানায় মার্কিন সেনাবাহিনী।
বাংলা/এনএস