হংকংয়ের স্বাধীনতা সীমিত করার জন্য দায়ী চীনা কমিউনুষ্ট কর্মকর্তাদের উপর ভিসা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা জানিয়েছিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তবে এজন্য কারো নাম উল্লেখ করেননি তিনি।
আগামী ২৮ জুন, রবিবার থেকে চীন তার পার্লামেন্টে তিন দিনের বৈঠকে মিলিত হবে যেখানে দেশটি হংকংয়ের জন্য নতুন জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঠিক তার আগেই ওয়াশিংটন এমন ঘোষণা দিলো।
পম্পেও সুনির্দিষ্ট কোন চীনা কর্মকর্তার নাম না নিয়ে বলছিলেন, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ‘বর্তমান এবং প্রাক্তন’ চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তা যারা ‘হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য দায়বদ্ধ বা এতে জড়িত বলে মনে করা হয়েছে’- তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
গত মাসে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প চীনের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, তিনি চীনের বিরুদ্ধে বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের একটি প্রক্রিয়া শুরু করছেন। যা ১৯৯৭ সালে ব্রিটেনের হস্তান্তরের পর থেকে হংকংকে বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র হিসাবে থাকতে দিয়েছে।
পম্পেওর এ ঘোষণাটি হংকং নিয়ে চীনের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রথম মার্কিন কঠিন পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এশিয়া বিশেষজ্ঞ বনি গ্লেজার বলেছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা মূলত প্রতীকী। এ নিষেধাঙ্গার জন্য কোনো কর্মকর্তার নাম দেয়া হয়নি।
তবে ওয়াশিংটনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নিষেধাজ্ঞা শুধু চীনের কর্মকর্তাদের জন্য নয়, বরং তাদের স্বজনরাও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসতে পারেন। এদিকে ব্লুমবার্গের এক কলামিস্ট একজন বিভাগের কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছেন, এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কর্মকর্তাদের সংখ্যা থাকবে ‘একক অঙ্কে’।
চীন দূতাবাসের মুখপাত্র ফাং হং বলেছেন, চীন ‘মার্কিনি এ ভুল সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে,’ এবং সেই সাথে এও বলেছেন, চীনের আইন কেবল ‘একটি অত্যন্ত সংকীর্ণ ক্রিয়াকলাপকে লক্ষ্য করে যা জাতীয় নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে।’
তিনি তাই অনুরোধ করেছেন এটা বলে, ‘আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে তার ভুল সংশোধন, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং চীনের দেশীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি।’
বাংলা/এনএস
আপনার মন্তব্য লিখুন