প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে বিপর্যস্ত পৃথিবী। এর মধ্যেই নতুন বিপদের আশঙ্কায় সময় গুনছেন বিজ্ঞানীরা। হঠাৎ করেই বাতাসে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে গেছে। উত্তর ইউরোপ ও সুমেরুর বায়ুমণ্ডলে এই তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়েছে। এ তথ্য সামনে আসতেই ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
তবে কি কারেণ বায়ুমণ্ডলে এই তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে তার কারণ এখনই বলতে পারছেন না বিশেষজ্ঞ। এতে মারাত্মক বিপদের আশঙ্কা করছেন তারার। হঠাৎ করে বাতাসে তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
একদল বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণ মতে, রাশিয়ার দিক থেকে কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ আসছে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করছে, তাদের নিউক্লিয়ার প্লান্টে কোনো সমস্যা নেই। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে রয়েছে একটি প্লান্ট ও মুরমানস্কের কাছে রয়েছে আর একটি প্লান্ট। রাশিয়ান এজেন্সি টিএএসএস জানায়, তাদের দুটি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে রেডিয়েশন লেভেল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, মাত্রাতিরিক্ত তেজস্ক্রিয়তা মানুষের শরীরে ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীরও। বিকিরণের পরিমাণ সহ্যমাত্রা ছাড়ালে বিলুপ্তও হতে পারে কিছু প্রাণী ও প্রজাতি।
ফিনল্যান্ড, স্ক্যান্ডেনেভিয়া ও আন্টার্টিকের কিছু অংশে ওই রেডিয়েশনের দেখা পাওয়া গেছে। নরওয়ে ও সুইডেনের নিউক্লিয়ার সেফটি সংক্রান্ত সংস্থা ‘দ্য ফিনিশ’ জানায়, বাতাসে রেডিয়েশন লেভেল বাড়লেও তা এখনো মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়।
সংস্থাটি আরো জানায়, এই রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ মানুষের তৈরি। কারণ তা প্রকৃতিজাত নয়, কৃত্রিম তাই উৎস সন্ধান সময়সাপেক্ষ। করোনার মাঝে নয়া বিপদের তথ্যে নতুন করে চিন্তিত বিশ্ব।
বাংলা/এনএস