দেশের হাসপাতালগুলোতে মোট ১৪ হাজার বেড শুধু করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারণ করা এর মধ্যে ৪০ শতাংশ বেড এখনো খালি রয়েছে। ৩০ জুন, মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী অধিবেশেনে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এ সময় জাহিদ মালেক বলেন, ‘এমন নয় যে দেশের কোনো হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আজ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বেড পূর্ণ হয়েছে এবং এখনো ৪০ শতাংশ বেড খালি রয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য আমরা ১৪ হাজার বেড নির্দিষ্ট করে দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, করোনা রোগীদের জন্য উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন লাইন প্রয়োজন। সরকার এক হাজার উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন সিস্টেম এবং ১০ হাজার নতুন অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হোটেল ও খাদ্য ব্যয় সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অভিযোগগুলো সঠিক নয়, কারণ ৫০টি হোটেলে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ লোক একমাস অবস্থান করেছেন। তাদের জন্য ৫০০ টাকা খাদ্য ব্যয় হিসাবে দেয়া হয়েছিল। দিনে তিনবার খাবারের জন্য- সকাল দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য। আর প্রতিটি রুমের ভাড়া প্রতিদিনের ভাড়া ছিল এক হাজার ১০০ টাকা ।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ব্যয়গুলো এত বেশি ছিল না, যে খাদ্য ব্যয় (অভিযোগে) বলা হয়েছিল, তা সঠিক নয়।’
তিনি আরো বলেন, এখন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) মান সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই। সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০ লাখ পিপিই পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৬৪ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত মারা গেলেন ১৮৪৭ জন। নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩৬৮২ জন। এপর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।
৩০ জুন, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
বাংলা/এনএস