বাংলাদেশি জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক আর্থিক লেনদেন ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসেন্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল ৩০ জুন, মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।
এমপি পাপুলের ঘটনায় তদন্তের পর ওই মেজর জেনারেলের বিরুদ্ধে সে দেশের কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরে জানিয়েছে আরব টাইমস।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, পাপুল কুয়েতের দুই সরকারি কর্মকর্তাকে চেকের মাধ্যমে ১১ লাখ কুয়েতি দিনার এবং নাম প্রকাশ না করা অন্য এক ব্যক্তিকে ১০ লাখ কুয়েতি দিনার দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে শহিদ ইসলাম স্বীকার করেন, একটি মন্ত্রণালয়ের ইনচার্জ তার ক্লিনিং কোম্পানিতে উপস্থিত হয়ে ঘুষের টাকা গ্রহণ করেন। এসময় কেউ যাতে তাকে চিনতে না পারে সে জন্য কোম্পানিতে থাকা কুয়েতি কর্মচারীদের বের করে দেয়া হয়।
কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে গত ৬ জুন সেখানে গ্রেপ্তার করা হয় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় দেশটির আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাপুলকে আটক রাখার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে পাপুলের আইনজীবী তার মুক্তি দাবি করে আসছেন।
তদন্তে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ জানতে পায়, পাপুল তার কুয়েতি কোম্পানির মাধ্যমে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে সেখানে নিয়ে গেছেন। এইসব বাংলাদেশির কাছ থেকে দৈনিক ‘সার্ভিস চার্জ’ হিসেবে তার কোম্পানি ৮ দিনার নিতেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।
বাংলা/এসএ/