সম্প্রতি সরকার নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয়। তবে নিয়োগের পর থেকেই কয়েকজন কর্মকর্তাকে ঘিরে প্রশাসনের ভেতরে সমালোচনা দেখা দিয়েছে। যা গড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। নিয়োগ প্রাপ্তদের সাতজন কর্মকর্তার মধ্যে তিনজনই শিক্ষাজীবনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এদের মধ্যে একজন ছাত্রদলের মনোনয়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (বাকসু) নির্বাচিত সাবেক নেতা, অন্যজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এফ রহমান হলের ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এ ঘটনা সামনে আসার পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে এ আদেশ পুনঃবিবেচনার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সম্প্রতি ডিসি পদে পদায়নকৃত কর্মকর্তাদের বিষয়ে বেশকিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করা হচ্ছে। একজন কর্মকর্তার আদেশ বাতিলের প্রস্তাবও করা হয়েছে। শিগগির অন্যদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, যশোরের ডিসি পদে পদায়নকৃত কর্মকর্তা উপসচিব মো. তমিজুল ইসলাম খান দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) শাখায় কাজ করছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এফ রহমান হলের ১৯৯৫ সালের ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। অন্যদিকে, মেহেরপুর জেলায় ডিসি পদে পদায়ন পাওয়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (বাকসু) ১৯৯৫ সালের নির্বাচিত নেতা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও যশোর জেলায় পদায়নকৃত ডিসি মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব ও মেহেরপুরে পদায়নকৃত ডিসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার ব্যাপারে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি জানিয়েছি। এসব বিষয়ে এখন লেখালেখি না করাই ভালো হবে।
সূত্র : সমকাল
বাংলা/এনএস