সবাই তাকে চেন ম্যান বলে জানে, তার আসল নাম কামরুজ্জামান। গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক নারীকে চেন দিয়ে পেঁচিয়ে লোহার রড মাথায় মেরে খুন করা হচ্ছিল। তবে গত এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে একই ভাবে হত্যা করার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সিরিয়াল কিলার চেন ম্যান। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কালনাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যেই কামরুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছে কালনা আদালত। ২ জুলাই, বৃহস্পতিবার এক কিশোরীকে খুন-ধর্ষণের মামলায় অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক বিচারক তপন কুমার মন্ডল এই রায় দেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
আদালতের সূত্র মতে, আগামী সোমবার তার সাজা ঘোষণা করা হবে। একই কায়দায় একের পর এক নারীকে খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। এক বছর মামলা চলার পর কামরুজ্জামানকে দোষী সাব্যস্ত করলো আদালত।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে কালনা মহকুমা জুড়ে একের পর এক নারীকে চেন দিয়ে পেঁচিয়ে লোহার রড মাথায় মেরে হত্যা করা হচ্ছিল। ধারাবাহিক এই খুনের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশও কিছু করতে পারছিল না। এরপর গত বছর ৩০ মে কালনা এলাকায় এক দশম শ্রেণির ছাত্রীকে বাড়িতে একলা পেয়ে মারধর ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কিছুদিন পর বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
ওই কিশোরী বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতো। তার মা পরিচারিকার কাজ করতেন। সেদিন দুপুরে ওই ছাত্রী বাসায় একা, তা নিশ্চিত হয়ে বাড়িতে ঢুকেছিল অভিযুক্ত। বিকেলে বাড়ি ফিরে মেয়েকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পান মা।
কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই ছাত্রী একলা আছে বুঝে বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর ওই ছাত্রীর উপর ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন। এরপর তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন কামরুজ্জামান। শ্বাসরোধ করে হত্যারও চেষ্টা হয়। ওই ছাত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়লে বাড়িতে লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর ২ জুন কালনার কাখুঁরিয়া এলাকা থেকে কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে কালনা থানার পুলিশ।
তবে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তিনি।
বাংলা/এনএস