রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের আওতায় কে কত টাকা পাবেন তা আগামী তিনদিনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ৩ জুলাই, শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এ বিষয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘পুরোনো টেকনোলজি দিয়ে আমাদের এই কারখানাগুলো টিকতে পারছে না। মাসের পর মাস লস করছে। এখানে আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা দায়ী না- এটা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাইদের বলবো, যেখানে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন সেখানে ভাববার কোনো বিষয় নেই। আপনারা খুবই নিরাপদে আছেন, খুব শান্তিতে থাকবেন- এই আমার ধারণা।’

পাটমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শ্রমিকদের দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। অনেকে বলেছেন কী পাবো, না পাবো জানবো কীভাবে? চলতি মাসের বেতন এ সপ্তাহের শেষের দিকে আপনাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। আরো দুই মাস নোটিশ পিরিয়ড আছে। পরের মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাবে।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এরপর বাজেট ক্লিয়ারেন্স হবে। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনদিনের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে। এর মধ্যে আপনারা (পাটকল শ্রমিকরা) জেনে যাবেন কে কত পাচ্ছেন না পাচ্ছেন। সেটা আপনারা অবগত হবেন।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ জুলাই থেকে বন্ধ ঘোষণা করা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রতিজন শ্রমিক গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবেন। সরকার তাদের পাওনার অর্ধেক নগদে ও বাকি অর্ধেক টাকার সঞ্চয়পত্রে পরিশোধ করবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ এবং শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে একটি সভা হয়। তারপর লোকসান থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। গত ২৮ জুন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

বাংলা/এনএস