চীনের তেল আমদানি পথ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা সংখ্যা বাড়াবে ভারত। চীনের আধিপত্য বিস্তারের কৌশল মোকাবেলা করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। লাদাখ নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন মোদি।
ভারত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে দেশটি। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ওই খবরে বলা হয়, পূর্ব লাদাখে ভারতের চার ডিভিশন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতি ডিভিশনে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার সৈন্য থাকে।
এদিকে ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চীন। সেই বিষয়টি মাথা রেখেই এবার আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের গুরুত্ব বেড়েছে। তাই উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌবাহিনীর এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ক্যাম্পবেলে আইএনএস বাজের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান যাতে এখান থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য।
আরো বলা হয়, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সেনা কর্মকাণ্ড বাড়ানোর রোল-অন প্ল্যান অনুসারে ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। সেখানে আরো যুদ্ধবিমান, নৌজাহাজ ও সেনা এখানে মোতায়েন করা হবে। এ জন্য ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২৭ সালের মধ্যে এই দ্বীপপুঞ্জে সেনা পরিকাঠামো বৃদ্ধির কাজ সম্পূর্ণ করা হবে বলেও জানানো হয়।
আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী বছরে স্থায়ীভাবে বিমানঘাঁটি তৈরি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এখানে সেনার পরিকাঠামো ও সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বহু দিন ধরেই আটকে ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি লাদাখে চীনের আক্রমণাত্মক ও আধিপত্য বিস্তারবাদ মনোবৃত্তির জন্য এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
বাংলা/এনএস