নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান পরামর্শ যেখানে ‘পরীক্ষা, পরীক্ষা এবং পরীক্ষা’, সেখানে উল্টো পাথে হাঁটছে বাংলাদেশ। একদিকে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ‘রেড’, ‘ইয়েলো’ এবং ‘গ্রিন’ জোন করা হচ্ছে, অন্যদিকে কমে এসেছে নমুনা পরীক্ষা।
কয়েকদিন আগে যেমন দিনে পরীক্ষা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছিলো, গতকাল ৫ জুলাই, রবিবার আবার তা ১৪ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর কারণ হিসেবে সরকারি ফি নির্ধারণকেই দায়ী করেছেন অনেকে।
২৯ জুন থেকে সর্বনিম্ন ২০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণের কারণেই দরিদ্র জনগোষ্ঠী করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফি নির্ধারণের আগে প্রায় সাত লাখ রোগী বিনা পয়সায় এই পরীক্ষার সুবিধা পেয়েছেন। আবার অনেকের ধারণা, কিটের সংকট থাকায় এর প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার উপর।
পরীক্ষা কমে যাওয়ার পেছনে অন্তত দুটি কারণ দেখছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুন নূর তুষার। তার ধারণা, পরীক্ষা কমে গেলে রোগীও কমে যায়। এটাও নীতি হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৮ জনের নমুনা। এর মধ্যে ২ হাজার ৭৩৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৭২ হাজার ৬২৫ জন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জনের মৃত্যু হচ্ছে। গত ২ মে এই হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬১ দিনে ৮৫৫ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ১৯০ জন। বাকিরা করোনার অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলা/এসএ/
আপনার মন্তব্য লিখুন