করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে আটকা পড়ে আছেন ১০৩ জন বাংলাদেশি নারী কর্মী। চার মাস ধরে ফ্লাইট জটিলতায় তারা দেশটির ডেপুটেশন সেন্টারে আটকে আছেন। ইতোমধ্যে তাদের দেশে ফেরার সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় সেখানে আটকে পড়ে আছেন তারা।
আম্মানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, আটকে পড়া ৮৭ জন প্রশাসনিক কারণে, দুজন বিচারিক কারণে এবং ১৪ জন বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তবে এখন তাদের দেশে ফিরতে কোনো বাধা নেই।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান সম্প্রতি আম্মানের জোয়াইদেহ পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানেই আছেন বাংলাদেশি ওই নারী কর্মীরা। রাষ্ট্রদূত বন্দিদের অবস্থা সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন। সেইসাথে তাদের প্রত্যেকের জন্য কেন্দ্রটির পরিচালক দালাল সাওয়ালহার কাছে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও হস্তান্তর করেন তিনি।
জানা যায়, ডেপুটেশন সেন্টার বা পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোতে যা প্রশাসনিক কারণে আটক হন, নিজ নিজ দেশে ফিরতে তাদের কাগজপত্রের প্রক্রিয়া সম্পাদন করতে সাধারণত ১৫-২০ দিনের জন্য স্বল্পমেয়াদে অবস্থান করেন। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন সময়ে বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় এই কেন্দ্রে ৪ মাস ধরে অপেক্ষা করছেন তারা। এই কারণে সেখানে আটক বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
জোয়াইদেহ পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালকের কাছে নিত্য ব্যবহার্য জিনিস হস্তান্তর করছেন রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান
তাদের নিত্য ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের জন্য পোশাক, সাবান এবং টেলিফোন কার্ড সংবলিত ১০৩টি বাক্স হস্তান্তর করা হয়।
দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ওই কেন্দ্রটিতে থাকা বিদেশিদের দেখভালের দায়িত্ব স্থানীয় সরকারের। তারপরও নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এদিকে করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশিদের সহায়তা দেয়ার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন জোয়াইদেহ পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক দালাল সাওয়ালহা।
বাংলা/এসএ/