বাংলাদেশ থেকে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে ইতালি। সম্প্রতি দেশটিতে যাওয়া ২৯ জন বাংলাদেশির শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। আর এ ঘটনার পরই করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। আর এই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার ঘটনায় প্রথমেই আসে রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মালিক মোহাম্মদ সাহেদের নাম।
এর মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি ফ্লাইট ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ইতালি। আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশিকে ঢুকতে দেবে না দেশটি।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট ও তথ্য গোপন করে ইতালিতে প্রবেশ করার ঘটনায় তোলপাড় চলছে ইউরোপের এই দেশটিতে। এতে করে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা যেমন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে দেশের। টাকার বিনিময়ে করোনা ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে বাংলাদেশিদের ইতালিতে যাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে সেই দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে।
ইতালি থেকে ফেরত আসা প্রবাসীদের একজন হলেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ইতালির স্বাস্থ্য দপ্তর ঢাকা ত্যাগের ৭২ ঘণ্টা পূর্বে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে। সেক্ষেত্রে অনেকে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বিদেশে কর্মস্থলে ফিরতে ভুয়া স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করছেন। আমার জানামতে, এ পর্যন্ত যারা ইতালিতে ফিরেছেন, তাদের কয়েক জন রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। কারণ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দ্রুত করোনা টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যায় না। রিজেন্টকে টাকা দিলে দ্রুত সার্টিফিকেট পাওয়া গেছে।’
সূত্র মতে, ইতালিতে যাওয়া করোনা রোগীদের অধিকাংশের করোনার ভুয়া রিপোর্ট ছিলো রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে দেয়া। দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এই খবর বাংলাদেশে আসে। এরপরই রিজেন্টে অভিযান চালানো হয়।
এ বিষয়ে ইতালি-বাংলা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তাইফুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগতদের করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট সংগ্রহ করতে সহযোগিতা করেছে ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালের কয়েকটি শাখা। ১ জুন থেকে যারা ইতালিতে ফিরেছেন, তাদের করোনা টেস্ট করানোর জন্য সরকারি কেন্দ্রে যেতে আহ্বান করেছে। এ ছাড়া সংক্রমণ রোধে এই সপ্তাহে জুমার জামাতে অংশ নিতেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলা/এনএস