পূর্ব লাদাখের তিনটি এলাকা থেকে সেনাবাহিনী সরানোর প্রথম পর্বের কাজ সম্পন্ন করেছে চীন। দীর্ঘ উত্তেজনার পর সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার শর্ত অনুযায়ী সেনা সরিয়েছে চীন। ৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার এই চিত্র ধরা পড়ে।
তবে চীন নিজেদের সেনা সরালেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ভারত। কারণ, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু অংশ নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ প্রতিদিন।
এর আগে ৩০ জুন লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া মল্ডোতে কোর কম্যান্ডার লেভেলের বৈঠকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনাবাহিনীর পিছনো এবং সেনা সংখ্যা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়, ওই বৈঠকের পর ২ জুলাই থেকে সেনা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপর ৫ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলরের বৈঠকে লাদাখে পর্যায়ক্রমে সেনা কমানোর বিষয়টি ঠিক হয়।
এদিকে দেশটির একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই এলাকা এখনো পুরোপুরি চীনের দখলমুক্ত নয়।
সূত্রের রবাত দিয়ে বলা হয়, প্যাংগংয়ের ফিংগার ৪ থেকে ফিংগার ৮’র মধ্যে প্রায় ৩ হাজার চীনের সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ৩০ জুনের বৈঠকে হওয়া চুক্তি অনুযায়ীও ওই এলাকা থেকে চীন সেনা সরে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে চীন। ফিংগার ২ পর্যন্ত এলাকায় নিজেদের এলাকা হিসেবে দাবি করছে চীন। তবে নতুন সমস্যার সমাধান করতে ১০ জুলাই, শুক্রবার আবারো বৈঠকে বসছে চীন ও ভারত।
বাংলা/এনএস