প্রতারণার আরেক নাম মোহাম্মদ সাহেদ। সম্প্রতি তার মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে করোনার ভুয়া টেষ্ট রিপোর্ট প্রকাশ পর থেকেই একের পর এক তার অপকর্মের খবর বেরিয়ে আসছে। এর সাহেদ বিরুদ্ধে রিজেন্ট কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক জাল সার্টিফিকেট দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যাম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ এই তথ্য জানান। ১৪ জুলাই, মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে তিনি এই তথ্য জানান।
এ বিষয়ে আশিক বিল্লাহ বলেন, রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে দেশের সব জায়গায় অভিযান চলছে। প্রতারণার জগতে সাহেদ আইডল। প্রতারণাকে কিভাবে ব্যবহার করে সরল সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঠকবাজি করে কিভাবে একটা পর্যায়ে আসা যায় তার অনন্য দৃষ্টান্ত সাহেদ।
তিনি আরো বলেন, সাহেদর নামে নতুন করে অনেক অভিযোগ এসেছে। রিজেন্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে অনেক জাল সার্টিফিকেটও দিয়েছেন সাহেদ। এই প্রতারক যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুরো দেশসহ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই, সোমবার সন্ধ্যায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঢাকা মুখ্য মহানগর মাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্ত সাহেদকে আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে হাজির করার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।