বেশ কয়েকদিন ধরে অভিযানের পর অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে। ১৫ জুলাই, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর মো. সাহেদকে গণধোলাই দিতে চেয়েছিল এলাকাবাসী। এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
র্যাব জানায়, দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে সাহেদ এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব। সারারাত অভিযান শেষে সকাল ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সাহেদের সাথে ৩ রাউন্ড গুলিসহ অবৈধ পিস্তল পাওয়া যায়।
র্যাব আরো জানায়, বোরকা পরে নৌকায় করে পালিয়ে যাচ্ছিল সাহেদ। নৌকায় উঠার আগে নদীর পাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সাহেদকে পারপার করা নৌকার মাঝি সাঁতরে পালিয়ে যায়। সাহেদ মোটা থাকার কারণে দৌড়ে পালাতে পারেনি বলে জানায় র্যাব।
র্যাব জানায়, সাতক্ষীরায় সাহেদ ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছিল। যাতে চিনতে না পারা যায় এজন্য চুলের রং সাদা থেকে কালো করে সাহেদ। গোঁফ কেটে ফেলেছিলো। তার পরিকল্পনা ছিলো মাথা ন্যাড়া করে ফেলা।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই, সোমবার সন্ধ্যায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঢাকা মুখ্য মহানগর মাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্ত সাহেদকে আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে হাজির করার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।