আগের স্বাস্থ্য সচিবের নির্দেশে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারকে অনুমতি দেয়া হয় জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠিতে দেয়া ব্যাখ্যায় এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘ব্যাখ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, উনি (সাবেক সচিব) এগুলো মৌখিকভাবে বলেছেন। মন্ত্রণালয় ব্যাখা চাইতেই পারেন, রিপোর্ট জমা দিয়েছি, এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন, আমরা কোন ভুল বলি নাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বলেছি আপনার ডকুমেন্টস কোথায়। যতটুকু দিয়েছে যেহেতু অনেকগুলো কাগজ তাই যাচাই-বাছাই করবো। কাজটি যথাযথভাবে করেছেন কিনা এটার জন্যই ব্যাখ্যা চাওয়া নইলে ব্যাখ্যা চাইবো কেন।’
এর আগে ১৩ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য রিজেন্ট হাসপাতালকে কেন অনুমতি দেয়া হয়েছিলো- বিষয়টিতে আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা চায় মন্ত্রণালয়। যার জবাব চিঠির মাধ্যমে লিখিত আকারে জমা দিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মহাপরিচালক।
প্রসঙ্গত, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথকেয়ারের করোনার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ পেলে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। ট্রেড লাইসেন্স না থাকলেও জেকেজি হেলথকেয়ারকে এপ্রিলে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে ট্রেড লাইসেন্স করলেও, পরীক্ষা ছাড়াই করোনার ফলাফল তৈরি করায় জেকেজিকে নিষিদ্ধ করা হয়।
করোনার চিকিৎসা দিতে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গেই গত ২১ মার্চ চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চুক্তি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তখনকার স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এতো করেও সমালোচনার শিকার হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আপনার মন্তব্য লিখুন