রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের গোপন বাসা থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে র্যাব। সেই জাল ঋণ পরিশোধ করতেন তিনি। সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে ওই জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
উত্তরায় সাহেদের একটি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। সেখান থেকে এক লাখ ৪৬ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ সময় ব্রিফকেসসহ আরো কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সাহেদের তথ্য মতে, ওই গোপন বাসা থেকে যে জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা দিয়ে সে ঋণ পরিশোধ করতো। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ঘুরেও যখন টাকা পেতো না তখন এসব টাকা পেয়ে অনেকই খুশি হতেন। এরপর জাল টাকা বুঝতে পেরে তার কাছে গেলে সাহেদ বলতো, আমি আপনাদের ঋণের টাকা পরিশোধ করেছি, আর এখন বলছেন এসব টাকা জাল। পারলে মামলা করেন-বলে তাড়িয়ে দিতো তাদের।
র্যাবের মহাপরিচালক জানান, আজই সাহেদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সাহেদ মূলত একজন চতুর, ধুরন্ধর এবং অর্থলিপ্সু মানুষ বলেও জানান তিনি।
সাহেদের সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা- এর জবাবে তিনি বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে আজ ভোরে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বোরকা পরে নৌকায় করে পালিয়ে যাচ্ছিল সাহেদ। নৌকায় উঠার আগে নদীর পাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সাহেদকে পারপার করা নৌকার মাঝি সাঁতরে পালিয়ে যায়। সাহেদ মোটা থাকার কারণে দৌড়ে পালাতে পারেনি বলে জানায় র্যাব।
প্রসঙ্গত, ১৩ জুলাই, সোমবার সন্ধ্যায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ঢাকা মুখ্য মহানগর মাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামের আদালত এই পরোয়ানা জারি করেন। অভিযুক্ত সাহেদকে আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে হাজির করার জন্য উত্তরা পশ্চিম থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।