নিজেকে ‘করোনা রোগী’ বলে দাবি করেছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। ১৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে এই দাবি করেন তিনি। এ সময় সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
এ বিষয়ে আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আদালতে মো. সাহেদ বলেছেন, তিনি নিজেই করোনা রোগী।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাহেদ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেই কাজ করেছেন বলে জানান। তখন আমরা বলেছি-তিনি প্রতারণা করেছেন, ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার।’ এ সময় আদালত সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে সাহেদের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, সাহেদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গতকাল ১৫ জুলাই, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। এর পরপরই সেখান থেকে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। প্রথমে তাকে সরাসরি র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে তার গোপন একটি কার্যালয়ের হদিস পাওয়া গেলে সাহেদকে নিয়েই সেখানে অভিযানে যায় র্যাব। সেখানে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় র্যাব। পরে তারা সাহেদকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
সাহেদকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানের হাজতখানায়ই রাত কাটে তার।