নিজের জন্যও করোনা পজেটিভের ভুয়া রিপোর্ট বানান সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ। সাধারণ মানুষের সহানুভূতি পেতেই এই ভুয়া রিপোর্ট বানিয়েছিলেন তিনি। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য জানান সাহেদ।
সংশ্নিষ্ট উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, সাহেদ নিজের করোনা আক্রান্তের সনদ নিয়েও জালিয়াতি করেছেন। করোনায় আক্রান্ত অন্যের নমুনা ব্যবহার করে নিজের নামে সনদ নেন তিনি। তবে সত্যিকারার্থে তিনি করোনায় আক্রান্ত নন। সবার কাছে সহানুভূতি পাওয়া ও জালিয়াতি থেকে নিজেকে বাঁচাতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার নাটক সাজান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর করোনা সনদ জালিয়াতির এই তথ্য সাহেদ স্বীকার করেন বলেও জানান উচ্চপদস্থ ওই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, করোনার ভুয়া সনদ তৈরি করতে করোনা সংক্রমিত একজন বিশ্বস্তকর্মীর কাছ থেকে নমুনা নিয়ে সাহেদ তার নমুনা বলে চালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর জাল করোনার সনদ তৈরি করা হয়।
এর আগে গত বুধবার সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৫ জুলাই, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা। এর পরপরই সেখান থেকে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। প্রথমে তাকে সরাসরি র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এরপর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে তার গোপন একটি কার্যালয়ের হদিস পাওয়া গেলে সাহেদকে নিয়েই সেখানে অভিযানে যায় র্যাব। সেখানে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় র্যাব। পরে তারা সাহেদকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
সাহেদকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানের হাজতখানায়ই রাত কাটে তার।
বাংলা/এনএস