ডাচেস অফ সাসেক্স মেগান মার্কেল তার বাবার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডদের দোষ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার বাবা সংবাদপত্র এবং ভাষ্যকারদেরকে তথ্য দেয়ার বিনিময়ে ‘উল্লেখযোগ্য অর্থ’ পেয়েছেন।
মেগানের আইনজীবীরা বলেছেন, মেগান এবং টমাস মার্কলের মধ্যে ‘শৈশবকাল থেকেই খুব সুন্দর পিতা- কন্যার সম্পর্ক ছিলো। তিন বছর আগে যুক্তরাজ্যের হস্তক্ষেপমূলক মিডিয়া তার বাবাকে টার্গেট না করা পর্যন্ত বাবা হিসেবে তিনি ততটা কাছে ছিলেন।
তার বাবার কাছে হাতে লেখা একটা চিঠি প্রকাশের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ‘মেইল অন সানডে’র বিরুদ্ধে করা তার চলমান মামলার অংশ হিসাবে সর্বশেষ আইনী বাধ্যবাধকতায় তাদের আর্থিক সম্পর্কের বিশদ বিবরণী প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে মেগান অভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় তার বাবাকে ‘যথেষ্ট’ আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। তবে, প্রিন্স হ্যারির সাথে তার বিয়ের সময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়। ফলে ২০১৮ সালে মে মাসে তিনি এই অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেন। এরপর তাদের মধ্যে কোনো কথা হয়নি।
মেগানের ঘনিষ্ঠ লোকজন মেইল অন সানডে’কে ব্রিটিশ আদালত ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে নেতিবাচক শিরোনাম তৈরির জন্য তার ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেছে। সূত্র বলছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ট্যাবলয়েডটি তার প্রতিরক্ষার জন্য মামলা মোকদ্দমা প্রক্রিয়া আর ব্যবহার করবে না এবং শিরোনাম সৃষ্টি করে আরো ক্ষতির কারণ হতে পারে না।’
মেগানের কাছের লোকের অভিযোগ করছেন, পত্রিকার আইনজীবীরা তার আইনী মামলার দিকগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত স্পষ্টতার জন্য চাপ দিয়ে মেগানকে আরো বেশি করে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য করেছেন। যার ফলে আরো নেতিবাচক প্রেস কভারেজ তৈরি করেছে।