মানবপাচার ও আর্থিক লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগে কুয়েতে আটক লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের আটকাদেশ আরো বেড়েছে। দেশটির উচ্চ আদালত তাকে দেয়া আটকাদেশের মেয়াদ আরো দুই সপ্তাহ বড়িয়েছে।
গতকাল ১৯ জুলাই, রবিবার দেশটির আল রাই পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এমন সংবাদ জানিয়েছে।
পাপুলের সাথে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তকৃত নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট ও বসবাসের অনুমতি বিষয়ক দপ্তরের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জাররা আল সাবাহকে তিন সপ্তাহের আটকাদেশ দেয়া হয়েছে। সেইসাথে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো দুই কুয়েতি নাগরিককে দুই সপ্তাহের জন্য আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
কুয়েতে আদম ব্যবসায় অনিয়ম এবং হাজার কোটি টাকার কারবারে জড়িত সন্দেহে গত ৬ জুন মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২৪ জুন তাকে ২১ দিনের জন্য কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় দেশটির আদালত। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার ৫ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। পরে দেশটির সিআইডি তাকে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পাপুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
তার সাথে জড়িত কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জাররা আল সাবাহসহ দেশটির আরো দুই নাগরিককে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে একই ঘটনায় দেশটির মানবসম্পদ বিভাগে এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি।