পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যার ঘটনার পরিস্কার তথ্যচিত্র পাওয়ার দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল ১৯ আগস্ট, বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিক বিল্লাহ।
পুলিশের করা তিনটি মামলার আলামত বুঝে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে এসময় জানানো হয়, নীলিমা রিসোর্ট থেকে পুলিশের জব্দ করা সিনহার সহযোগী শিপ্রার ২৯ টি ডিভাইস রামু থানা থেকে আজ ২০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার গ্রহণ করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদসহ নানান ঘটনা বিশ্লেষণ করে মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা রাশেদ খান হত্যার পুরো তথ্যচিত্র পাওয়া গেছে।
রিমান্ডে থাকা আসামিদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পেয়েছে। যা এই হত্যা মামলার তদন্তকে আরো এগিয়ে নিয়ে গেছে। আসামি ও সাক্ষীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে এই হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
এদিকে রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার চার পুলিশসহ ৭ জনকে আদালতে হাজির করা হবে বলেও জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তিনি সহকর্মীদের নিয়ে ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভিডিওচিত্র ধারণ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ শেষে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন তিনি। শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। টেকনাফ থানায় দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। এতে সিনহার সহযোগী সিফাতকেও আসামি করা হয়।
অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মামলায় ভিডিওচিত্রটির পরিচালক শিপ্রা দেবনাথকে আসামি করা হয়। তারা দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন।
পরবর্তীতে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এদের মধ্যে বরখাস্তকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিত ৭ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন