পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে নিজ কর্মস্থল রাজধানী ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে করে ২৮ মে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ৪ রো রো, ৪টি কে-টাইপ ও ২টি মিডিয়ামসহ মোট ১০টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার হচ্ছে।
তবে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের চাপ অনেক কম ছিলো। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। ফেরিগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। সেখানে গাড়ির সংখ্যা কম, যাত্রীর সংখ্যাই বেশি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএস মো. শফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে এজিএস মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে কাঠালবাড়ি থেকে হাজার হাজার মানুষ শিমুলিয়ায় আসছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তারা আসছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মায় ২ নং সতর্কতা সংকেত উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। পদ্মা এখনো কিছুটা উত্তাল। বাতাসের কারণে সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। ফেরিগুলো যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। আমরা চেষ্টা করছি নির্বিঘ্নে পারাপারের। এছাড়া কর্ণফুলী নামে একটি ছোট ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা আছে। জরুরি প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা হবে।’
এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। গণপরিবহন না থাকায় তাদের ছোট গাড়ি, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল এমনকি পিকাপে বা ট্রাকে করে গন্তব্যে রওনা দিতে হচ্ছে। অনেকেই ঘাটে কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছেন। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় যাত্রীদের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছি, কিন্তু যাত্রীরা শুনছেন না। কারো ধৈর্য নেই। ঘাটে এসে তারা হুড়োহুড়ি করে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানে চড়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছে। নৌপথে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
আপনার মন্তব্য লিখুন