করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় স্কুল খুলে দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। কিন্তু স্কুল খুলে দেয়ার একদিন পরই সেগুলো আবার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২৮ মে, বৃহস্পতিবার দেশটির বুচিওন শহরে দুই শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
একটি স্কুলে দুই শিক্ষার্থীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পরই স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ওই খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সিউলের পশ্চিমে অবস্থিত বুচিওন শহরে বুধবার প্রথমদিন স্কুল খোলার পরই একটি প্রতিষ্ঠানে দুই শিক্ষার্থীর শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনার পর ওই স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরই সংক্রমণের আশঙ্কায় বুচিওনের ২৫১ টি স্কুল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরো ১০০টি স্কুল খোলার কথা থাকলেও সেগুলো এখন আর খুলছে না।
সামাজিক দূরত্ব ও সুরক্ষাবিধি মেনে স্কুলগুলো খোলা হলেও দুই শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ক্লাস ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অনলাইনেই ক্লাস নেয়া হবে বলেও জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আবারো ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্তায় আবারো দুই সপ্তাহের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় সামাজিক দূরত্ব কড়াকড়িভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানী সিউল এবং আশপাশের শহরগুলোতে জাদুঘর, পার্ক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া নাগরিকদের গণজমায়েত এড়িয়ে চলার জন্যও আহ্বান জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪০২ জন করোনায় আক্রান্তে হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৬৯ জন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩৬৩ জন সুস্থ হয়েছেন। করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় কখনো লকডাউন জারি করা হয়নি। দেশটির নাগরিকরা করোনা প্রতিরোধের জন্য স্বতস্ফুর্তভাবে সরকারের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আহ্বানে সাড়া দেন। এছাড়া বেশি করোনা টেস্ট এবং রোগী শনাক্ত করে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় দক্ষিণ কোরিয়া।
বাংলা/এনএস