পাখিদের ডানা থাকে। সেই ডানায় ভর করেই ওড়ে পাখি। তা দেখেই মানুষের মনেও ওড়ার সাধ জাগে। সেই ইচ্ছাশক্তিতে বলীয়ান মানুষ তৈরি করেছে বিমান, রকেট, নভোযান।
তবে তারও আগে মাছের সাঁতার দেখে জলজয়ের স্বপ্নও জেগেছিল মানুষের চোখে। ছোট্ট নৌযানে মাছের ডানার মতো করে বৈঠা যুক্ত করে ছোট্ট জলাশয় জিততে জিততে মানুষ সাগর-মহাসাগরজয়ী নৌযানও তৈরি করেছে। এর কোনো কোনোটায় পাল যুক্ত থাকলেও ডানা ছিল না।
এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডানাসহ জাহাজ তৈরি করতে যাচ্ছে সুইডেনের একটি প্রতিষ্ঠান। জাহাজের নকশা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালেনিয়াস মেরিন‘র সঙ্গে যুক্ত হয়ে নির্মাণ হতে যাচ্ছে সেই বিরাট ডানাযুক্ত জাহাজটি। চারটি ডানাযুক্ত জাহাজটি আগামী ২০২৪ সাল থেকে আটলান্টিক মহাসাগর দিয়ে চলাচল শুরুর কথা রয়েছে। আর এতে বহন করা যাচ্ছে ৬-৭ হাজার গাড়ি!
দ্য ড্রাইভেন’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কমাতে সক্ষম এই আধুনিক জাহাজটি। ইতোমধ্যে ‘ওশেনবার্ড’ এবং ‘দ্য উইন্ড পাওয়ার কার ক্যারিয়ার’ বা ‘ডব্লিউপিসিসি’ নাম প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে জাহাজটির জন্য। আর এর নকশাটি জাহাজের জন্য নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ওয়ালেনিয়াস মেরিন।
ফ্রেইনার জাহাজের তুলনায় নতুন এই জাহাজটি চলাচলে অনেক কম জীবাশ্ম জ্বালানি খরচ হবে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪৫০টি বড় যানবাহন বহনকারী জাহাজ প্রতিদিন প্রায় ৪০ টন জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অবশ্য সাগরে ‘ওশেনবার্ড’র ছোট্ট একটি মডেল সফলভাবে চলাচল করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালেই সাগরে নামবে নতুন প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ জাহাজটি। আর এক দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৫৬ ফুট এবং ১৩১ ফুট প্রস্থ। এর পূর্ণ উচ্চতা সুবিশাল প্রসারিত পালসহ হবে ৩২৮ ফুট। আর এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু জাহাজ।