প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করায় ইরানে এক কিশোরীকে শিরশ্ছেদ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তার বাবা। গত ২১ মে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তালেহ জেলায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এরপর দেশজুড়ে ওই পাষণ্ড পিতার প্রতি চলছে ধিক্কার।
জানা গেছে, দেশটির রাজধানী তেহরানের ৩২১ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের শহর তালেহতে বাস করতেন ১৪ বছর বয়সী রমিনা আশরাফি নামের ওই কিশোরী। সে ভালোবাসতো ২৯ বছর বয়সী এক যুবককে। কিন্তু তার পরিবার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এ মাসের মাঝামাঝি রমিনা পালিয়ে গিয়ে ওই যুবককে বিয়ে করে।
এর পাঁচদিনের মাথায় পুলিশ তাদের সন্ধান পায়। পরে তারা রমিনার অনুরোধ উপেক্ষা করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয় তাকে। পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হলে তাকে খুন করার আশঙ্কাও পুলিশকে জানান রমিনা। তবে তার পিতা রেজা আশরাফি পুলিশের কাছে তাকে ‘ক্ষমা করা হয়েছে’ জানালে তারা রমিনাকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়।
এরপর গত ২১ মে ঘুমন্ত রমিনাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার বাবা রেজা আশরাফি। পাষণ্ড পিতা শুধু তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বর্বরভাবে কিশোরী মেয়েটির মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
পরে রমিনাকে হত্যার দায়ে তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মেয়েকে হত্যার দায়ও স্বীকার করেন রেজা আশরাফি।
ইরানের আইন অনুযায়ী, পারিবারিক সম্মান রক্ষায়র নামে কোনো ব্যক্তি যদি তার মেয়েকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে তাকে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে।
এদিকে কিশোরী রমিনা হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে নারীদের রক্ষায় দ্রুত আইন প্রণয়ন করতেও তিনি মন্ত্রিসভাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলা/এসএ/