ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ পারাবত-১১ এর কেবিন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে লঞ্চটি পৌঁছার পর অন্যান্য যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে গেলে কর্মচারীরা ওই নারীর মরদেহ কেবিনের মধ্যে দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পারাবত- ১১ লঞ্চের মাস্টার মো. শামীম বলেন, লঞ্চটির বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সিসি টিভির ফুটেজে দেখে যায়- সদর ঘাট থেকে ওই নারী লঞ্চে ওঠার সময় তার সঙ্গে একজন পুরুষ ছিলেন। এরপর তারা লঞ্চের তৃতীয় তলার ৩৯১ নম্বরের সিঙ্গেল কেবিনে ওঠেন। সোমবার বরিশাল ঘাটে লঞ্চ ভিড়লে ভোরে ওই ব্যক্তি একা লঞ্চ থেকে নেমে যান। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সদর নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ মামুন জানান, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে পারাবত- ১১ লঞ্চটি সোমবার ভোরে বরিশাল বন্দরে পৌঁছে। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর কর্মচারীরা কেবিনগুলো পরিষ্কার শুরু করেন। এ সময় ৩৯১ নম্বর সিঙ্গেল কেবিনে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে কর্মচারীরা ভেতরে গিয়ে বিছানার ওপর এক নারীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তার পরনে ছিল স্যালোয়ার কামিজ।
ওসি বলেন, সুরতহাল রিপোর্টে ওই নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে দরজা খোলা থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল, যিনি লঞ্চ বন্দরে পৌঁছার পর পালিয়ে গেছেন। তাছাড়া কেবিনটির বুকিং দেয়া ছিল একজন পুরুষের নামে। সেখানে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে কল দেয়া হলে কুমিল্লায় অবস্থানরত এক ব্যক্তি রিসিভ করেন। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে ভুয়া মোবাইল নম্বর দিয়ে কেবিন বুকিং করা হয়েছিল।
ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মরদেহ ও ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি-না তা এখনই বলা সম্ভব নয়। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই নারীর সঙ্গে থাকা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় সদর নৌ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।