অল্পবয়সী মেয়েদের জন্য ভয়াবহ মারণরোগ লুপাসের বিস্তার ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষ আক্রান্ত হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় রোগটি পুরো নাম সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস বা এসএলই। নারীরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
১৫-৮৫ বছরের মহিলারা যে কোনো সময় লুপাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। তবে কমবয়সী কিশোরী-তরুণীদেরই এতে সংক্রমিত হওয়ার হার বেশি।
এসএলই রোগটিকে একটি অটো ইমিউন ডিজিজ হিসেবে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, নিয়মিত চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। না হলে মৃত্যু অবধারিত।
লক্ষণ : লুপাসে আক্রান্ত হলে তিন মাসের বেশি সময় ধরে একাধিক অস্থিসন্ধি ফুলে থাকা ও দীর্ঘমেয়াদি জ্বর দেখা দেবে। সেইসাথে খিঁচুনি, দীর্ঘশ্বাসে বাড়ে এমন অস্বাভাবিক বুকে ব্যথায় ভুগবেন। এছাড়া হাতের তালু, নাক-কান ও গলায় ঘা দেখা দেবে। সেইসাথে লালচে প্রস্রাব, আঙুলের গোড়ার রঙ বদলে যাবে।
এই ধরনের লক্ষ্মণ শরীরে দেখা দিলে দ্রুতই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। সঠিক সময়ে লুপাসের চিকিৎসা না করলে তা ক্রমেই বাড়তে থাকবে। দেখা দেবে নিত্যনতুন উপসর্গ। তাই লুপাস রোগীর জীবনে অনেক বিধিনিষেধ দেন চিকিৎসকরা।
তবে এ রোগ নিয়ে অনেক ভুল ধারণাও রয়েছে। লুপাস জন্মগত বলে ধারণা প্রচলিত হলেও এটি একদমই ভুল ধারণা। লুপাস ছোঁয়াচেও নয়। এতে আক্রান্ত রোগী যৌন সংসর্গ করলেও এ রোগ ছড়ায়না।
বাংলা/এসএ/