জাপান সরকার আজ জানিয়েছে, তারা করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ন্যাসাল সোয়াব (নাক থেকে নমুনা) নয়, বরং লালা ভিত্তিক পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে। কারণ তারা মনে করছে সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য এটা অধিকতর নিরাপদ ও সহজ উপায়।
সেই সাথে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিচালিত পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর দিকেও জাপান মনোযোগ দিয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০ শে মে পর্যন্ত জাপান এক হাজার লোকের মধ্যে মাত্র ৩.৪ জনের পরীক্ষা করতে পেরেছে। অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় যা অনেক কম। যেমন আমেরিকা ও ইতালি প্রতি হাজারে ৫২.৫ এবং ৩৯ জনের পরীক্ষা করেছে। আবার দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি হাজারে ১৫ জনের পরীক্ষা করেছে।
বর্তমানে নাকের ভেতর থেকে নেয়া নমুনা জাপানে পিসিআর পরীক্ষার প্রধান উৎস। নমুনা সংগ্রহের সময় কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে চিকিৎসা কর্মীদের সম্ভাব্য সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। এজন্য তাদের সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক জিনিস পরে তারপর প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়।
কিন্তু লালাভিত্তিক পরীক্ষা হলে সে ঝামেলা থাকবে না। সহজে নমুনা নেয়া যাবে। লালা থেকে নমুনা তাদের কাছ থেকেই নেয়া যাবে যাদের ৯ দিন পর্যন্ত লক্ষণ থাকবে বলে জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অবশ্য নমুনা সংগ্রহের এ পরিবর্তনটি সামগ্রিক পরীক্ষার সক্ষমতা কতটা বাড়িয়ে দেবে তা অবশ্য পরিষ্কার করা হয়নি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্যাটসুনোবু কাটো সাংবাদিকদের পরিবর্তনের রূপরেখা উল্লেখ করে বলেন, ‘এটি রোগীদের উপর চাপের পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহকারীদের জন্য সংক্রমণ-প্রতিরোধের বোঝা হ্রাস করবে।’
করোনাভাইরাস পরীক্ষার সংখ্যার বিচারে জাপান অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ে। সমালোচকরা বলছেন, স্বল্প হারের পরীক্ষার ফলে ভাইরাস শনাক্ত করতে অসুবিধা হচ্ছে এর ফলে হাসপাতালে সংক্রমণের ক্লাস্টারগুলোর একটি ধারাবাহিকতা তৈরি করে ফলেছে।
এনএইচকে পাবলিক ব্রডকাস্টারের মতে জাপান এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার সংক্রমণ এবং ৮৯৮ জন মারা গেছে। তবে মহামারীটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশে মন্দা ডেকে এনেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের জনপ্রিয়তা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক কমে গেছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন